সানফিশ

মলিয়েডি পরিবাবারভূ্ক্ত স্লেন্ডার সানফিশের বিজ্ঞানসম্মত নাম Ranzania laevis. Slender Sunfish বেশী পাওয়া যায় কোরাল দ্বীপের আশেপাশে। মাছটি কোরাল খেয়েই বেঁচে থাকে। দৈর্ঘে আড়াই ফুট এবং ওজনে প্রায় ৬ কেজি। এদের আছে টিউবের মত মুখ যা কোরাল ও শৈবাল চুষে খেতে সহায়ক। এদের লেজ দেখতে অদ্ভুত যা দেখে মনে হয় কেউ যেন মাঝখান দিয়ে কেটে অর্ধেক করে দিয়েছে।

২ এপ্রিল সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫০-৭০ কিমি দূরে জেলেদের জালে বিরল সামুদ্রিক মাছ “সামুদ্রিক সানফিশ” ধরা পড়েছে। এটি “স্লেন্ডার সানফিশ” নামেও পরিচিত। মাছটি অত্যন্ত বিরল এবং বাংলাদেশের জলসীমায় এটি আগে কখোনো দেখা যায়নি। ৬০-৮০ ফুট অগভীর সমুদ্রে ধরা পড়ার পর বয়স্ক জেলেরাও অবাক হয়ে যায়। এটি বর্তমানে কক্সবাজারে নির্মানাধীন পানওয়া বে পার্ক (Panowa Bay Park) যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পার্কের জীববিজ্ঞানী রাগিব উদ্দিন আহমেদ এটি স্লেন্ডার সানফিশ হিসেবে সনাক্ত করেন। পরে তিনি এটি সংরক্ষণের উদ্দ্যোগ নেন।জনাব রাগিব গত ২০০২ এর অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার তুলামবেন বালি তে (Tulamben Bali, Indonesia) এই প্রজাতির মাছ দেখেছেন বলে দাবি করেন। তিনি ন্যাশনাল এ্যসোসিয়েশন অফ আন্ডারওয়াটার ইন্সট্রাক্টরস, ইউএসএ লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন স্কুবা ডাইভার। তাঁর মতে অতিমাত্রায় মৎস্য আহরন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কোরাল বিনষ্ট হওয়া, মাছ ধরায় পরিবেশ অবান্ধব পদ্ধতির ব্যবহার ইত্যাদি সমুদ্রের মৎস্য সম্পদ বিশেষত: বিরল প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সান ফিশ একসঙ্গে প্রায় ৩০,০০০০০ ডিম পাড়তে সক্ষম।
সূত্র: নিসর্গ
Posted by — Saturday, December 19, 2009

Belum ada komentar untuk "সানফিশ"

Tambahkan komentar anda :

Advertisement