মূল্যবান রত্ন হিসেবে মুক্তার কদর রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর এই মুক্তা তৈরি হয় দুটি শক্ত খোলকবিশিষ্ট প্রাণী ঝিনুকের ভেতরে। ঝিনুক (ইংরেজি: Oyster) একটি অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণী। এর নরম শরীরটি দুটি শক্ত খোলস আবৃত করে রাখে। এই খোলস দুটি কব্জার মতো এক জায়গায় আটকে থাকে। ঝিনুকের মাথা ও চোখ নেই। বেশির ভাগ ঝিনুকের বাস সমুদ্রে হলেও মিঠা পানিতেও কয়েক প্রজাতির ঝিনুক পাওয়া যায়। একটি মা ঝিনুক বছরে প্রায় ৫০ কোটি ডিম পাড়ে। এই ডিম থেকে বাচ্চা হতে মাত্র ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। অর্থনৈতিকভাবে ঝিনুক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। ঝিনুক থেকে মুক্তা সংগ্রহ ছাড়াও ঝিনুকের খোলস থেকে চুন তৈরি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জার উপকরণ তৈরিতে ব্যবহার হয়। পৃথিবীব্যাপী ঝিনুক মানুষের প্রিয় খাদ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে। ঝিনুকে জিংক, লৌহ, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়ামসহ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি১২-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে। শুধু মানুষ নয়, বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণী বিশেষ করে হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবেও ঝিনুকের ব্যবহার হয়। ফলে বাণিজ্যিকভাবে ঝিনুকের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ঝিনুক থেকে সাধারণত গোলাপি ও চুর_দুই ধরনের মুক্তা পাওয়া যায়। এর মধ্যে গোলাপি মুক্তার বিশ্বজুড়ে মানসম্মত মুক্তা হিসেবে খ্যাতি রয়েছে।
গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার
Belum ada komentar untuk "ঝিনুক"
Tambahkan komentar anda :