১৮০২ সালে সমুদ্রের তলদেশে প্রথম এই অদ্ভুত চেহারার বিশেষ প্রজাতির মাছ খুঁজে পান ফ্রেঞ্চ পরিবেশ বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কোইস পেরন। তারপর থেকে প্রায় ২০০ বছর এই মাছের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি বলে IUCN (International Union for Conservation of Nature) এর পক্ষ থেকে এই “স্মুদ হ্যান্ডফিস”-কে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে বিজ্ঞানী পেরন “বায়োলজিক্যাল কনজারভেশন” নামের একটি UK Journal -এ এই মাছ সম্পর্কিত একটি লেখাতে বলেছিলেন যে খুব লাজুক ও শান্ত প্রকৃতির এই মাছ সমুদ্রের একেবারে তলদেশে ছোট্ট পরিসরে থাকতে পছন্দ করে।
এদের দেহের মাপ ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি ও আকৃতি অদ্ভুত ধরণের হয়ে থাকে। এই মাছ অন্যান্য মাছেদের মতো জলে ভেসে বেড়াতে পারে না। এদের ঘারের দুপাশ থেকে দুদিকে দুটি পাখনা বের হয় যা দেখতে অবিকল মানব শরীরের হাতের মতো, আর তাই দিয়ে এরা সমুদ্রের তলদেশে খুব ধীরে ধীরে হেটে চলাফেরা করে। এই জন্যই তাদের নাম দেওয়া হয়েছে “স্মুদ হ্যান্ডফিস”।
এই মাছের প্রায় ১৩ টি প্রজাতি রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৫ তারিখে তাসমানিয়া সমুদ্রের তলদেশে মেরিন বিজ্ঞানীরা আবার নতুন করে এই হ্যান্ডফিসের সন্ধান পেয়ে অত্যন্তই খুশি বলে জানিয়েছেন Conservation Organisation of UK-র চিফ ইকোলজিস্ট ড: গ্রাহাম এডগার। IUCN এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ফিরে পাওয়া এই বিরল প্রজাতির হ্যান্ডফিস সংরক্ষনের বিষয়ে যাবতীয় কাজ করছেন মেরিন বিজ্ঞানীরা।
Belum ada komentar untuk "হ্যান্ডফিস"
Tambahkan komentar anda :