তবে সম্প্রতি ফের মাছটির দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পানিতে নয়, একেবারে মাটির নিচে, অনেক গভীরে। আর পুনরায় খুঁজে পাওয়া মাছটি পুরোপুরি অন্ধ।
সর্বশেষ স্টিজিখথিস টাইফলপসের দেখা মিলেছিল ১৯৬২ সালে, এখন থেকে ৫০ বছর আগে। ব্রাজিলের জাইবা নামের শহরে। মানুষের গোসল ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা একটি জলাশয়ে পাওয়া ওই মাছ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমেরিকান মত্স্যবিশারদ জোসেফ টোসি জুনিয়রের কাছে। তিনি তখন কোনও কাজে ওই অঞ্চলেই অবস্থান করছিলেন। তিনি মাছটিকে বিলুপ্ত প্রজাতির শেষ চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
ড. মোরেইরা বলেন, ‘এটা একটা রহস্যময় প্রজাতির মাছ। সঠিক কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই আমাদের হাতে। মনে হতে পারে, এটা হয়তো পিরানহা এবং টেটরাসের সমগোত্রীয়।’
মাছটি যে কেবল মাটির অভ্যন্তরে পাওয়া গেছে তা-ই নয়, এটি অন্ধও। তবে এর সমগোত্রীয় মাছগুলোর প্রত্যেকটিই দিব্যি দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, এমন মাছ এর আগে আর দেখা যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। আর এই মাছ সম্পর্কে আমাদের কাছে ন্যূনতম তথ্যও নেই। পুনরাবিষ্কৃত এই মাছ আরও পাওয়া যায় কিনা এই আশায় গবেষকরা কথা বলেছেন জাইবার স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে। কিন্তু জাইবার অঞ্চলটি এত বেশি শুষ্ক যে, ওখানকার মানুষকে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ১৯৮০ সালের পর থেকে এখানকার পানির স্তর আগের চেয়ে অনেক বেশি নিচে নেমে গেছে। মোরেইরা বলেন, ‘আমরা মাছটির আর কোনো নমুনা খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ ওই অঞ্চলে প্রায় সবগুলো কূপই শুকিয়ে গেছে। তারপরও দুটো জলাশয় থেকে স্টিজিখথিস টাইফলপসের ৩৪টি প্রজাতি খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু এই মাছটির সঙ্গে সেগুলোর অনেক কিছু মিল থেকেও বেশকিছু পার্থক্য রয়ে গেছে।’


Belum ada komentar untuk "কানা মাছ"
Tambahkan komentar anda :